ঈশ্বরদী রেলওয়ে ফুট ওভারব্রীজের জরাজীর্ণ অবস্থা, সংস্কারের দাবি
ঈশ্বরদী প্রতিনিধিঃ
১৯১৫ সালে পাকশীর ঐতিহাসিক হার্ডিং ব্রীজ ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশন স্থাপনের পর ১৯২৩ সালে ঈশ্বরদীর পূর্ব ও পশ্চিম এলাকায় ফুট ওভারব্রীজটি তৈরি করা হয়। ব্রিটিশ আমলের নির্মাণ ফুট ওভারব্রীজের বয়স ১০০ বছর ছুঁই ছুঁই। রেলওয়ে টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে যাত্রীদের সহজে স্টেশনে যাওয়ার কথা ভেবে এই ফুট ওভারব্রীজটি তৈরি করে।
শতবর্ষী এই ওভারব্রীজের ওপর দিয়ে চলাচল করা এখন চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ব্রীজের উপরে কংক্রিটের স্লাবের বেশিরভাগই ভেঙ্গে গেছে। শহরের পূর্ব ও পশ্চিম এলাকার মানুষের চলাচল করার সংযোগ ব্রীজ হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ব্রীজের পাটাতন এর মধ্যে ফুটো ও ভাঙ্গার কারণে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আজ সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঈশ্বরদী বাজার ও রেলওয়ে টিকিট কাউন্টার থেকে ওভারব্রীজে ওঠার জন্য যে পাটাতন রয়েছে, কিছুদূর যাওয়ার পর দেখা যায় তিনটে ফুল গাছের টব দিয়ে আড়াল করা হয়েছে একটি পাটাতন নেই। ফাঁকা দিয়ে নিচে চোখ পড়লে আঁতকে উঠতে হয়। কোন কোন পাটাতন ভেঙে বড় রড বের হয়ে গেছে। আবার কোন কোন স্লাবের অর্ধেক পরিমাণ ক্ষয় ও ভেঙে সিঁড়ি থেকে মানুষ নিচে পড়ে যাওয়ার মত অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন এই ফুট ওভারব্রীজ দিয়ে স্কুল কলেজের শত শত শিক্ষার্থীসহ ব্যবসায়ী, যাত্রী, পশ্চিম এলাকা থেকে পূর্ব এলাকায় কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করেন।
দৈনন্দিন এই ফুট ওভারব্রীজ দিয়ে পারাপার করা কিছু ব্যক্তি বলেন, প্রতিদিন ওভারব্রীজ দিয়ে চলাচলের সময় অজানা আশংকায় থাকি, কখন জানি নিচে পড়ে যাই। ওভারব্রীজ এড়িয়ে চলতে গেলে এক থেকে দেড় কিলোমিটার ঘুরে রেলগেট হয়ে বাজারে আসতে হয়।
ভুক্তভোগীরা বলেন, এই ওভারব্রীজ ছাড়া বিমানবন্দর রোড, পশ্চিম টেংরি আরম্বারিয়া, গোকুলনগর, মৌবাড়ি, শৈলপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা যেমন বাজারে যাতায়াত করতে পারেন না, তেমনি এসএম মডেল সরকারী স্কুল এন্ড কলেজ, গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ও শিক্ষকদের আসা যাওয়ার কোন উপায় নেই। এই বিষয়ে, পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ের যাতায়াত করে এমন মানুষগুলো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ ও পুনরায় সংস্কারের দাবি জানান।