অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের মামলায় বাবরের ৮ বছরের কারাদণ্ড
জাতীয় ডেস্কঃ
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তথ্য গোপনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন।
পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী বাবর রায়ের সময় আদালতে হাজির ছিলেন। এর আগে গত ৪ অক্টোবর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন। এদিন সকাল পৌনে ১১ টায় আসামী বাবরকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর সকাল ১০ টা ৫১ মিনিটে তার উপস্থিতিতে আদালত রায় পড়া শুরু করেন। রায় পড়া শেষ হলে ১১ টা ১৯ মিনিটে আসামী বাবরের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন।
২০০৭ সালের ২৮ মে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে আটক হওয়া বাবরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের মামলাটি ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি রমনা থানায় দায়ের করা হয়। মামলাটি করেন সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৬ জুলাই দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক রূপক কুমার সাহা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে বাবরের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকার অবৈধ সম্পদ রাখার অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি দুদকে ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১২ টাকার সম্পদের হিসাব দাখিল করেছিলেন। তার অবৈধ সম্পদের মধ্যে প্রাইম ব্যাংক এবং এইচএসবিসি ব্যাংকে দুইটি এফডিআর-এ ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ টাকা এবং বাড়ি নির্মাণ বাবদ ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৮ টাকা গোপনের কথা উল্লেখ করা হয়। একই বছরের ১২ আগস্ট আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত।