গলা কেটে পান ব্যবসায়ীকে হত্যা করলেন জামাই-শ্বশুর
বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় ২৩ দিন ধরে নিখোঁজ হওয়া পান ব্যবসায়ী মোফাজ্জল হোসেনের গলিত লাশ ঢাকার আশুলিয়া থেকে উদ্ধার করেছে দায়িত্বরত পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জামাই-শ্বশুরসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে আটককৃৃত ৩ জনকে হত্যা মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। গত শুক্রবার দুপুরে ঢাকার আশুলিয়ার মরাগাং নামক স্থান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে লাশের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আশুলিয়া থানা পুলিশের সহায়তায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
আটককৃত ৩ জন হলেন- ১। উপজেলার ভাসুবিহার গ্রামের ফজলার রহমানের ছেলে রুবেল, ২। তার শ্বশুর অমির উদ্দিনের ছেলে সামাদ ও ৩। একই গ্রামের ইসাহাকের ছেলে মিলন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিবগঞ্জ থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম।
দায়িত্বরত পুলিশ বলেন, মোফাজ্জল গত ১৯ আগস্ট রাত থেকে নিখোঁজ হন। রাতে তিনি স্ত্রী রাশেদাকে বলেন তিনি(মোফাজ্জল) মোকাম তলায় আছেন এবং পাওনাদারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বাড়িতে ফিরবেন। ঐ রাত থেকেই মোফাজ্জলের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেও তাকে না পাওয়া গেলে গত ২৩ আগস্ট তার স্ত্রী শিবগঞ্জ থানায় জিডি করেন।
মোফাজ্জলকে খোঁজার এক পর্যায়ে জানা যায়, তার সঙ্গে সব সময় চলাফেরা করতেন রুবেল। রুবেলের কাছ থেকে মোফাজ্জল সম্পর্কে জানার জন্য তার বাড়িতে যাওয়া হলে বাড়িতে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে লালমনিরহাট জেলায় রুবেলকে পাওয়া যায়। গত শুক্রবার সকাল ৮.০০ টার দিকে তাকে শিবগঞ্জ থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে রুবেল স্বীকার করেন তিনি ও তার শ্বশুর সামাদ এবং মিলন মোফাজ্জলকে তার পাওনা টাকা ফেরত দিবে বলে গত ২০ আগস্ট সকাল ৯.০০ টার দিকে মোকামতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে ঢাকা জেলার আশুলিয়া এলাকায় নিয়ে যান। একই দিন সন্ধ্যার পর আশুলিয়ার মরাগাং নামক এলাকায় মোফাজ্জলকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃত ৩ জনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মোফাজ্জলের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।