বিলীনের পথে গোদাগাড়ীর নিমতলী গ্রাম
গোদাগাড়ী প্রতিনিধিঃ
পদ্মার তীব্র স্রোতে বিলীনের পথে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ৭ নম্বর দেওপাড়া ইউনিয়নের নিমতলী গ্রাম। গ্রামের ৪ কিলোমিটার এলাকার কোনো না কোনো অংশ প্রতিদিনই ভাঙ্গছে পদ্মার পানিতে। এতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা।
গতকাল শুক্রবার ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখা যায়, ভেঙে পড়ছে নদীর পাড়ে অবস্থিত বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। পদ্মার ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন সেখানে ফেলছেন জিও ব্যাগভর্তি বালু। পাউবো সূত্র জানায়, গত ১৭ আগস্ট নিমতলী গ্রামের কথা জানার পরদিনই জিও ব্যাগভর্তি বালু ফেলে সাময়িকভাবে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করা হয়। ১৮ আগস্ট থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ৫৫০০ বস্তা জিও ব্যাগে বালু ফেলা হয়েছে। তবে, সেখানে ১০ হাজার বস্তা জিও ব্যাগ ফেলা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের দিকে একবার গ্রামটি ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়ে যায়। পরে আবার পলি জমে চর জাগলে লোকজন আবার বসতি স্থাপন করে। প্রায় ২৩ বছর ধরে এদিকে কোনো নদী ভাঙনের সৃষ্টি হয়নি। এবার বর্ষার শুরুর দিকে ভাঙ্গন দেখা দিলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানানো হয়। কিন্তু, তারা তেমন আগ্রহ দেখাননি। ফলে নিমতলী গ্রামের ৩-৪ কিলোমিটার নদী তীরবর্তী এলাকায় তীব্র ভাঙ্গণের সৃষ্টি হয়।
পাউবোর সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার রিফাত করিম বলেন, ভাঙ্গনের প্রতিরোধের কোনো ব্যবস্থা আগে এখানে ছিল না। ভাঙ্গন ঠেকাতে এলাকায় ১০ হাজার বস্তা জিও ব্যাগে বালু ফেলার কর্মপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৫ হাজার এর বেশি বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগামীতে মূল নদীতে ড্রেজিং, বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও সিমেন্টের তৈরি ব্লক ফেলার মাধ্যমে ভাঙ্গন প্রতিরোধেও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।