গোদাগাড়ীর ঐতিহাসিক পুরাকীর্তি স্থাপনা সংরক্ষণের দাবি
গোদাগাড়ী প্রতিনিধিঃ
গোদাগাড়ী উপজেলার কুমরপুরে প্রায় ২০ থেকে ২২ ফুট উঁচুতম টিলার উপড়ে অবস্থিত এই পুরাকীর্তি স্থাপনাটি। ১৬৬২ সনে পারস্য দেশ থেকে আগত এক ইসলামী শান্তির দিশারী কুমরপুরের এই উঁচুতম টিলার উপরে আগমন ঘটে।
সেই ইসলামী আলোর শান্তির দিশারী ঐতিহাসিক ইসলামের সম্প্রসারণ ঘটান। সেই থেকে পুরাকীর্তি স্থাপনাটির নামকরণ করা হয় হযরত শাহ মির্জা আলীকুলি বেগ (রহঃ) পুরাকীর্তি স্থাপনা। এই স্থাপনাটির উঁচুতম টিলার আয়তন প্রায় ৮ থেকে ১০ বিঘা এবং এটি সবুজ শ্যামল প্রকৃতি ঘিরে রেখেছে পুরাকীর্তি স্থাপনাটিকে।
কিন্তু, বর্তমান সময়ে মানুষ ও গবাদি পশুর অবাধ বিচরণ ঘটায় সবুজ শ্যামল প্রকৃতির এই স্থাপনাটির পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। এলাকার সর্ব সাধারণের দাবি হল, এই ঐতিহাসিক জায়গাটি প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ যেন সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এই ঐতিহাসিক জায়গাটি ঘিরে আলিম মাদ্রাসা, কিন্ডারগার্টেন, মসজিদ, গোরস্থান, ঈদগাহা গড়ে উঠেছে।
স্থাপনাটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা না করা হলে, অতি দ্রুত এই স্থাপনাটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়াবে। যদি এটি সংরক্ষণ করা যায়, তবে দেশী-বিদেশী অনেক দর্শনার্থী ঐতিহাসিক এই স্থাপনাটির ইতিহাস জানতে পারবে।